শিরোনাম |
আদালত অবমাননার মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার, ২ জুলাই দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে। ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’—এই বিতর্কিত বক্তব্যের সূত্র ধরে মামলাটি দাখিল করা হয়।
গত এপ্রিল মাসে একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে শেখ হাসিনার কণ্ঠে এমন একটি মন্তব্য শোনা যায়। বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে সত্যতা নিশ্চিত করে। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।
আরও পড়ুন...
ডলারের দরপতনে বিশ্ববাজারে দুশ্চিন্তা
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে হত্যা করা ধর্মীয় দায়িত্ব!
শুনানির জন্য আজকের (২ জুলাই) দিন ধার্য করা হয়। অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুল আদালতে হাজির না হওয়ায় এবং তাদের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যাও জমা না পড়ায়, ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচারের স্বার্থে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ করে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান এই দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, আদালতের প্রকাশ্য নির্দেশনার পরও অভিযুক্তরা হাজির হননি বা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রক্ষায় অ্যামিকাস কিউরির মতামতের ভিত্তিতে শুনানি এগিয়ে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
অবশেষে, অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেই আদালত অবমাননার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ রায়কে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে মন্তব্য করার পর থেকেই মামলাটির সূত্রপাত হয়। আদালতের রায়ে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এ রায় এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দেশের আইন ও রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা।