gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম বাসা ভাড়ার ১০ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছেন সঞ্জয় রয়েছে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ যশোর রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায়ই ঘটছে চুরির ঘটনা ট্রেনে মাকে অচেতন করে অপহৃত যশোরের শিশুর খোঁজ মেলেনি , বাবা মা ছুটছেন নানা স্টেশনে মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা আওয়ামী লীগ আমাদের বিরোধী দল বানাতে চেয়েছিল : রেজাউল করীম ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ২০ হাজার পার কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে ডায়েট ফেরদৌস পরশ আহবায়ক ও মাসুম বিল্লাহ সদস্য সচিব মাগুরায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা নিরাপদ পানি সরবরাহে ব্যবহার হচ্ছে গোবর!
ঘোড়াঘাট ৫০ শয্যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ভোগান্তির শেষ নেই
প্রকাশ : শনিবার, ৫ জুলাই , ২০২৫, ০৩:৪৫:০০ পিএম
আজহারুল ইসলাম সাথী, ঘোাড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
GK_2025-07-05_6868f458683c2.jpg


দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০২৩ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনো সেখানে মিলছে না মানসম্মত আধুনিক চিকিৎসা সেবা। নবনির্মিত ভবনের কার্যক্রম শুরু হলেও জনবল নিয়োগের অনুমোদন না থাকায় এখনও চলছে আগের ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই সেবা কার্যক্রম। এতে করে দৈনিক গড়ে ৬০০ বহির্বিভাগের রোগী, ৫০-৫৫ জন ভর্তি রোগী ও ২০-৩০ জন ল্যাব রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় চিকিৎসক সংকট তীব্র। মাত্র দুইজন—একজন গাইনী কনসালট্যান্ট ও একজন মেডিকেল অফিসার পুরো হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করছেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ৩১ শয্যার জন্যই ৭ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ জহুরুল আলম জানান, জনবল সংকটের কারণে এখন ৩১ শয্যারও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যার জন্য থাকা ১২২ জন জনবলের মধ্যে বর্তমানে ৭৪ জন কর্মরত, বাকি ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রধান সহকারী, স্টোর কিপার, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, অ্যাম্বুলেন্স চালক, ওয়ার্ড বয়, আয়া, বাবুর্চি, স্বাস্থ্য সহকারীসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ নেই।

আরও পড়ুন...

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আটক

টিকে থাকার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

পাটগ্রাম থানা ভাঙচুর : বিএনপি-যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার


এমনকি, হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য কোনো স্টোর রুম পর্যন্ত নেই। বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে চালানো হচ্ছে হিসাব বিভাগ ও স্টোরের কাজ।

সোনারপাড়া গ্রামের রোগী মঈন উদ্দিন জানান, এই হাসপাতালের পরিস্থিতি এমন যে জরুরি রোগী নিয়ে আসাও বিপজ্জনক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ঠিক সময়ে চিকিৎসা মিলছে না। জরুরি বিভাগে প্রায় সময় একজন ডাক্তারই দিনে ও রাতে দায়িত্ব পালন করছেন।

পুরাতন ভবনের নিচতলায় জরুরি বিভাগে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এক্সরে, প্যাথলজি ও আলট্রাসনোগ্রাম রুমের সামনেও দীর্ঘ লাইন।

জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার পরিচালনা করা হচ্ছে বাইরে থেকে ভাড়া করে আনা অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট দিয়ে। প্রধান সহকারী ও স্টোর কিপার না থাকায় প্রশাসনিক বিভাগও পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ কর্মীদের মাধ্যমে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান মেহেদী হাসান বলেন, হাসপাতালটি ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও এখনও ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বহু পদ শূন্য রয়েছে। এতে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যন্ত সবকিছু ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি জানান, বিষয়টি নিয়মিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।

আরও খবর

🔝