gramerkagoj
বুধবার ● ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম ট্রেনে মাকে অচেতন করে অপহৃত যশোরের শিশুর খোঁজ মেলেনি , বাবা মা ছুটছেন নানা স্টেশনে মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা আওয়ামী লীগ আমাদের বিরোধী দল বানাতে চেয়েছিল : রেজাউল করীম ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ২০ হাজার পার কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে ডায়েট ফেরদৌস পরশ আহবায়ক ও মাসুম বিল্লাহ সদস্য সচিব মাগুরায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা নিরাপদ পানি সরবরাহে ব্যবহার হচ্ছে গোবর! মনিরামপুরে ব্রিজ-কালভার্টে রেলিং নেই, রড কেটে নিচ্ছে মাদকাসক্তরা চৌগাছায় পৌরসভার মেয়রসহ ১০ ইউনিয়নে জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা

❒ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঐকমত্য কমিশনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, তবে উদ্বেগ-হতাশাও স্পষ্ট
প্রকাশ : রবিবার, ৬ জুলাই , ২০২৫, ০৩:৪২:০০ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2025-07-06_686a4273da509.jpg


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম ঘিরে যেমন জনমনে আগ্রহ ও প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি হতাশা ও উৎকণ্ঠাও প্রকট। তিনি জানান, বিএনপি ছয়টি সংস্কার কমিশনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে এবং প্রতিদিনের আলোচনা সভায় দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবস্থান তুলে ধরছেন।

রোববার (৬ জুলাই) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় বাস্তবধর্মী ছাড় দিয়ে আলোচনা করছেন এবং যুক্তি-প্রমাণসহ কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করছেন।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে। তবে প্রস্তাবের বিপরীতমুখী বা নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে আলোচনা অচল করে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার নামে যদি জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং সংসদকে দুর্বল করা হয়, তবে তা কোনোভাবেই গণতন্ত্র বা সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে পূরণ করবে না।”

আরও পড়ুন...

সন্ত্রাস ও অর্থের রাজনীতি নয়, জনস্বার্থের রাজনীতি করতে চাই

হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা হাসেম তালুকদার গ্রেপ্তার


এখনও আলোচনা হয়নি, তবে প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানা গেছে—র‌্যাব বিলুপ্তিসহ অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

৪৭টি প্রস্তাবের মধ্যে ৪৬টিতে বিএনপির সম্মতি। ২৯ নম্বর প্রস্তাব নিয়ে ভিন্নমত—আইনের মাধ্যমে নয়, আদালতের অনুমতির প্রথা অব্যাহত রাখতে চায় বিএনপি।

২০৮টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৮৭টিতে একমত, ৫টিতে আংশিক মত, ১১টিতে বিরোধিতা। বিরোধিতাগুলো প্রদেশ গঠন, পদোন্নতি প্রক্রিয়াসহ কিছু প্রশাসনিক বিষয়ে।

৮৯টি সুপারিশের মধ্যে ৬২টিতে সম্মতি, ৯টিতে আংশিক, ১৮টিতে ভিন্নমত। তবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব প্রস্তাবেই একমত।

২৪৩ প্রস্তাবের মধ্যে ১৪১টিতে সম্মতি, ১৪টিতে আংশিক, ৬৪টিতে ভিন্নমতসহ সম্মতি। ২৪টিতে পুরোপুরি ভিন্নমত। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয় এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

১৩১টি প্রস্তাবের বেশিরভাগেই একমত। ‘৭০ অনুচ্ছেদ’ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ বিষয়ে বিএনপি ছাড় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগেও দলটি সমঝোতায় এসেছে।

আরও পড়ুন...

আশুরায় ডুবে মরেছিল মিশরের দুঃশাসক ফেরাউন

মেসির জাদুতে মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির দুর্দান্ত জয়


মির্জা ফখরুল জানান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দেওয়ার বিষয়েও বিএনপি একমত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধনেও বিএনপি সম্মত।

তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ন্যায়পাল আইন আধুনিকীকরণ, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার মতো বিষয়ে বিএনপি সমর্থন জানিয়েছে।

ফখরুল বলেন, কিছু সংস্কার প্রস্তাবে কেবল ঐকমত্যের স্বার্থে বিএনপি একমত হলেও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা প্রশ্নবিদ্ধ। জনগণকে সম্পৃক্ত না করে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপি আজ আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি করেন মহাসচিব। তিনি বলেন, “শত শহীদের আত্মত্যাগ, গুম-খুনের শিকার সহকর্মীদের বেদনা আর লাখো নেতাকর্মীর ত্যাগ আমাদের ঐক্যকে অটুট করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাহীন করলে রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ে, যা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে। আমরা সেই বিপজ্জনক পথে যেতে দিতে পারি না।”

আরও খবর

🔝