gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৭ মে ২০২৪ ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ভাঙনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি পারাপার ব্যাহত
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন , ২০২১, ০৫:১৯:৩০ পিএম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি::
1622719228.jpg
দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটের পাটুরিয়া ৫টি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ফেরিতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে প্রতিদিন।এদিকে দৌলতদিয়ার ৫ ও ৪ নং ফেরি ঘাটেও বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তাগুলো নদীতে বিলিন হচ্ছে। চলতি বর্ষায় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সবগুলো ফেরি ঘাট। গত দুই বছরের নদী ভাঙনে এখানে অবস্থিত ৬টি ফেরি ঘাটের ৩টি ফেরি ঘাট বিলিন হলেও আজও এ ঘাট ৩টি চালু করতে পারেনি বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ।বর্তমানে উভয় পারের ঘাটগুলো দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছে খুড়িয়ে। স্থানীয়রা জানান দ্রুত ভাঙন অংশে পদক্ষেপ না নিলে ফেরি ঘাট সঙ্কটে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হবে চরমে।প্রতিদিনই পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও গত ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার পর স্রোত ও ঢেউ থাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে পাটুরিয়ার ৬টি ফেরি ঘাটের ১ কিলোমিটার অংশে। দৌলতদিয়া ৪ ও ৫ নং ফেরি ঘাটে ভাঙ্গনে নদীতে বিলিন হচ্ছে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা। এতে ঘাটগুলো বিলিন হওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।প্রতিটি ঘাটের দুই পাশে ভাঙন দেখা দেয়ায় সংকুচিত হচ্ছে ঘাট এলাকা। অথচ আজ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ফেরি ঘাটগুলো ভাঙনের কবলে পরলেও বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ এখনো ভাঙন ঠেকাতে নেয়নি কোন ধরনের ব্যবস্থা। ফেরিঘাট গুলোর দুই পাশ ভাংতে ভাংতে প্রধান সড়কের কাছাকাছি চলে এসেছে ফেরি ঘাট। ঘাটের পন্টুন সংলগ্ন স্থানে স্থানে ভাঙ্গনে যানবাহন ওঠানামা করতে সমস্যায় পরছেন চালকেরা।ফেরিঘাট এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় এলাকাবাসি, চালক ও যাত্রীরা বলেন, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া আজ কয়েকদিন ধরে ফেরি ঘাটের আশে পাশে ও ঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়ায় লঞ্চ ঘাটসহ ৫টি ফেরি ঘাট হমকিতে পড়েছে। প্রতিদিনই ভাঙছে ফেরিঘাট এলাকার চার পাশ। আজ বেশ কয়েকদিন হলেও ভাঙন ঠেকাতে কোন ধরনের পদক্ষে নেয়নি কতৃপক্ষ।দ্রুত ভাঙন স্থানে ব্যবস্থা না নেয়া হলে সবগুলো ঘাট বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন। দৌলতদিয়ায়র ৩টি ফেরি ঘাট দুই বছরে বলীন হলেও আজও এ ঘাটগুলো নির্মাণ করতে পারেনি কতৃপক্ষ। এতে প্রতিদিনই যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে এবং চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়লে বাকি ঘাট গুলো হুমকির মুখে পরার আশঙ্কা করছেন।গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী জানান, উপজেলার পক্ষ থেকে দৌলতদিয়ার ঘাট ভাঙন বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে নদী শাষন করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে নদী শাষনের কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান জানান, পাটুরিয়ার ভাঙন অংশের নিচে জিও ব্যাগের বস্তা রয়েছে এতে পলিগুলো ভেঙে বস্তার উপরে পড়ছে। আসলে এটা নদী ভাঙন না। দৌলতদিয়ায় কাজ চলমান রয়েছে, স্থায়ী কাজের জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বুয়েটের অনুমোদন পেয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে কতৃপক্ষকে বর্তমান ভাঙন অবস্থা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। ভাঙনস্থানে বস্তা ফেলার কাজ করা হবে বলে জানান।

আরও খবর

🔝