প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই , ২০২১, ০৯:৫৫:১৫ পিএম
যশোরে করোনার সংক্রমণ থামছে না। প্রতিনিয়ত রেকর্ড ভাঙছে। শনাক্ত ও মৃত্যুর হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় অক্সিজেন নিয়ে টেনশন কাটছে না আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্র্র্র্তৃপক্ষের। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ না করতে পারার কারণে এই টেনশন।যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করছে স্পেক্ট্রা নামে একটি কোম্পানি। এই কোম্পানি খুলনা বিভাগের ছয়টি জেলার সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কোম্পানিটি হাসপাতালে ট্যাংকি ভরে দেয়াসহ সিলিন্ডার রিফিল করে দেয়। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ বলছে, স্প্রেক্টা সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছে না। যখন দেয়ার কথা থাকছে তখন না দিয়ে তাদের সুবিধামতো সময়ে দিচ্ছে। এ কারণে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের টেনশন বেড়ে যাচ্ছে। কর্মকর্তাদের বক্তব্য, যে হারে কোভিড আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসছে তাতে করে অক্সিজেন কখন কী পরিমাণে লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। যে কারণে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন। এদিকে, স্পেক্ট্রা সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ কেন করতে পারছে না সেই বিষয়ে গ্রামের কাগজের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিভিন্ন জেলার সরকারি হাসপাতালের সাথে চুক্তিবদ্ধ এই কোম্পানি। বর্তমানে সব সরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা চলছে। কোথাও রোগীর চাপ কম, কোথাও বেশি। এ কারণে একসাথে সব হাসপাতালে অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। স্পেক্ট্রা একসাথে সব হাসপাতালে অক্সিজেন দিতে গিয়ে সময়মতো কোথাও দিতে পারছে না বলে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ওই সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার হাসপাতালের অক্সিজেন ট্যাংকি ভরে দেয়ার কথা ছিল স্পেক্ট্রার। কিন্তু এই কোম্পানিটি ট্যাংকির অর্ধেক ভরে দিয়ে চলে যায়। ওই অক্সিজেনের অর্ধেকমতো একদিনে শেষ হয়ে যায় বলে সূত্র জানায়। সূত্রটির মতে, বুধবার আনুমানিক দুই হাজার লিটার অক্সিজেন ছিল। যে কারণে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ টেনশনে পড়ে যায়। ওই সময় কিছু অক্সিজেন ভরা সিলিন্ডারই ছিল ভরসা। যদিও বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে অক্সিজেন ট্যাংকি ভরে দেয় স্পেক্ট্রা। ট্যাংকি ভরে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেক্ট্রার ম্যানেজার মিল্টন হুসাইন। এ বিষয়ে স্পেক্ট্রার যশোর অফিসের ম্যানেজার মিল্টন হুসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক সময় পুরোটাই দিতে পারছেন না। তবে, এজন্যে সংকট তৈরি হবে না বলে দাবি করেছেন মি. মিল্টন। অক্সিজেনের বিষয়ে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সুপার আক্তারুজ্জামান বলেন, একটি কোম্পানির উপর অনেকগুলো হাসপাতালের দায়িত্ব দেয়ায় তারা কখনো কখনো সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে কখনো কখনো টেনশন বেড়ে যাচ্ছে। একাধিক কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলে প্রতিটি হাসপাতাল তাদের সুবিধামতো অক্সিজেন পাবে। তখন আর সংকটে পড়ার আশঙ্কা থাকবে না।