gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
স্ত্রীর ভিডিও ক্লিপে বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা

❒ চৌগাছার চাঞ্চল্যকর পিকুল হত্যাকান্ড

প্রকাশ : বুধবার, ১৮ আগস্ট , ২০২১, ০৮:৩৩:৩১ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1629297651.jpg
যশোরের চৌগাছায় চাঞ্চল্যকর পিকুল হত্যায় এখনো গ্রেফতার হয়নি প্রকৃত খুনিরা। বরাবরই সন্দেহের তীর পরিবারের দিকে ছিল। এবার সেটা নিহতের স্ত্রী জুলেখা খাতুন হত্যা ঘটনায় মুখ খুলেছেন। ফলে অনেকটাই হত্যা ঘটনার জট খুলেছে। নিহতের স্ত্রীর ভিডিও ক্লিপের বক্তব্যে নানা তথ্য উঠে আসে। ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে এলাকায় চলছে এখন নানা আলোচনা।  গত বছরের ৮ নভেম্বর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কয়ারপাড়ায় নির্মমভাবে খুন হয় দিনমজুর পিকুল হোসেন। চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনায় নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে নিহতের স্ত্রী মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তিনি স্পষ্টতই তথ্য দিয়েছেন একটি ভিডিও ক্লিপে। তিনি এও বলেছেন মামলার আসামিরা কেউ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়। সম্প্রতি ওই ভিডিও ক্লিপটি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও বক্তব্যে- নিহত পিকুলের স্ত্রী জুলেখা জানান, তার স্বামীর প্রকৃত খুনি তারই আপন ভাই মুকুল হোসেন। মাঠের জমাজমি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই আপন ভাই আমার স্বামীকে হত্যা করে। এই হত্যার সাথে শ্বশুর জড়িত না থাকলেও তিনি সবই জানেন। আসলে এক সাথে তিনি দুই ছেলেকে হারাতে চাননি। তাই নিজের ছেলে মুকুলের নামে মামলা করেননি। তিনি বলেন, স্ত্রী হিসাবে আমার অধিকার রয়েছে, আমার স্বামী হত্যা মামলার বাদী আমি নিজেই হব। কিন্তু সেটা আমাকে হতে দেয়া হয়নি। পিকুল নেই মুকুলও হাত ছাড়া হওয়ার ভয়ে তিনি সত্য গোপন করছেন। তিনি আরো বলেন, সত্য উদঘাটনের ভয়ে তাকে ও সন্তানদের স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব কথা তিনি ভিডিও করে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠিয়েছেন। ভিডিও ক্লিপটি পাওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট দুপুরে নিহতের স্ত্রী জুলেখার বাবার বাড়িতে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। এ সময় তিনি বলেন, দুই সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। তবুও স্বামীর প্রকৃত খুনিরা আইনের মুখোমুখি হোক এমনটাই চান তিনি। প্রসঙ্গতঃ, বিগত সালের ৮ নভেম্বর পিকুল হোসেন হত্যার শিকার হন। ঘটনার দিন রবিবার সকালে বাবার দেয়া ১৮ কাঠা পাকা ধান কাটতে মাঠে যান পিকুল। অর্ধেক পরিমাণে ধান কেটে দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে আসেন। আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল বেলায় মাঠে বাকি ধান কাটতে যান। তারপর পিকুল আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। রাত আনুমানিক নয়টার দিকে খোঁজ করতে গিয়ে পিকুলের বাবা সাখাওয়াতসহ কয়েকজন ধান দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পিকুলের লাশ দেখতে পান। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে এলোপাতাড়ি দা, কাচির কোপের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পিকুলকে পড়ে থাকতে দেখেন। কেউ কিছু বুঝে না উঠতেই পিকুলের বাবা সাখাওয়াত একই গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, চা বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম ও তার ভাই নবম শ্রেণিতে পড়–য়া আরিফুল ইসলামের উপর পুত্র হত্যার দায় চাপান। বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার রাতেই বাড়ির থেকে শরিফুল ও আরিফুল দুই ভাইকে কথা আছে বলে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন বাদি নাম উল্লেখ করে শরিফুল, আরিফুল ও সাদ্দাম হোসেনসহ ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার করা হয়। পরের দিন একইভাবে পুলিশ সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। আদালতের বিচারক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এই রিমান্ড চলাকালে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ করলেও আসামিদের থেকে খুনের তেমন তথ্য উপাত্ত পায়নি। তবে গ্রেফতারকৃতরা সকলে এখন জামিনে আছে।

আরও খবর

🔝