gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা, বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ , ২০২২, ০৭:১৬:০২ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
1648127794.jpg
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দাম কমার কথা থাকলেও বড় মোকাম নওগাঁ ও নাটোরে বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে চাল। আর কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে ব্যবসায়ীরা সরু চালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমানোর দাবি করলেও, অস্বাভাবিক মজুদের অভিযোগ খোদ খাদ্যমন্ত্রীর।নওগাঁর খুচরা ও পাইকারি বাজারে দুই সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সম্পা কাটারী ও পাইজাম ৬৮ থেকে ৭০ টাকা এবং জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। আর মোটা জাতের স্বর্না-৫ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৪ টাকায়।ক্রেতারা জানান, “যা রোজগার করি চাল ও বাজার করেই তা শেষ হয়ে যায়।”বিক্রেতারা জানান, “চলমান সপ্তাহে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।”নাটোরেও অপরিবর্তিত সব ধরনের চালের দাম। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে বিক্রি কমে গেছে। মিলাররা বলছেন, ধানের দাম বেশি ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে রয়েছেন তারা।ব্যবসায়ীরা জানান, “সামনে রমজান মাস এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি চাল ১০ টাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসবের প্রভাবের কারণে বেচাবিক্রি কম।”চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কথা জানান জেলা খাদ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।নাটোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “জেলায় কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। সবগুলো মিলে অভিযান চালান হয়েছে। তবে কোন ধরনের মজুদ পাওয়া যায়নি।”এদিকে, কুষ্টিয়ার খাজানগরে দেশের সরু চালের প্রধান মোকাম পরিদর্শন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেসময় কয়েকটি গুদামে অস্বাভাবিক মজুদ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, রমজান সামনে রেখে কেজিতে দুই টাকা কমিয়েছেন দাম।কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, “দাম কমানোর পর কোন আড়ৎদার সেভাবে কোন অর্ডারপত্র দিচ্ছেন না। তবে যারা চাল নিতে ইচ্ছুক তারা নির্ধারিত ধরেই চাল পাবেন।”খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “বাজার চালানোর দায়িত্ব আপনার না। আপনার আছে আপনি বিক্রি করবেন, নাই তো বিক্রি করবেন না। ধীরে ধীরে বিক্রি করবেন আর বাজার বাড়তে থাকবে, এটা হবে না।”অন্যদিকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বাজারজাতকরণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বেশ কয়েকটি চালকলে তা মানা হচ্ছে না।

আরও খবর

🔝