gramerkagoj
সোমবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চৌগাছায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বেধড়ক মারপিটে ছাত্র আহত, শিক্ষক আটক
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৫৮:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ২৮ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১৫:১৮ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর):
GK_2024-03-29_6606e5ef8e809.jpg

যশোরের চৌগাছায় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছে শিশু সাজিদ হোসেন (১৩)। সাজিদ হোসেন উপজেলার লস্কাপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে। পুলিশ মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে।
২৭ মার্চ দিবাগত রাতে উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের ভাড়া করা বাসায় পরিচালিত মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। আহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার কয়ারপাড়া বাজারে একাটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা খুলে বসেন একই উপজেলার গয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান আক্তার। ভাড়া বাড়িতেই চলতো শিশুদের কোরাআন শিক্ষার কার্যক্রম। প্রতিদিনের মতই ১৬ রমজান তারাবি নামাজ আদায় করে শিশুরা বিশ্রামে যায়। রাত সাড়ে দশটার দিকে ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র ওই শিক্ষক আক্তার সাজিদ হোসেনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। ছোট্ট শিশু হুজুরের পা ধরে মাফ চাইলে লাথি মেরে দুরে ফেলে দেয়ার পাশাপাশি বুক ও পেটে লাথি মেরে আহত করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনা জানতে পেরে আহত শিশুর পিতা মাদ্রাসায় ছুটে যান এবং শিশুকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাজিদকে বাড়িতে রেখে ওই দিনই শিশুটির পিতা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ শিক্ষক আক্তরকে আটক করেন।
শিশুটির মা শিলা খাতুন বলেন, এমন নির্যাতন কোন মানুষ করতে পারেনা। তাকে যেভাবে মেরেছে তাতে মনে হচ্ছে হুজুর আক্তার হয়ত অস্বাভাবিক ছিলো।
সাজিদের বন্ধু আসিফ (১২) একই মাদ্রসায় পড়ে। রমজানের আগে তাকেও অনুরুপভাবে পিটিয়ে আহত করে ওই শিক্ষক। আসিফের মা রিনা খাতুন বলেন, তিনি শিশুদের পিটিয়ে তাদের মাঝে এক ধরনের ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
প্রতিবেশি শাহালম হোসেন ও আসমা খাতুন বলেন, ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে হুজুর ও তার স্ত্রী পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আক্তার হোসেন কয়ারপাড়ায় এসে পাশাপাশি দুটি বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে একটিতে মহিলা হাফেজিয়া, অন্যটিতে পুরুষ হাফেজিয়া মাদ্রাসা খুলে বসেন। উভয় প্রতিষ্ঠানে অর্ধশত শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষার্থী প্রতি তিনি মাসে সাড়ে ৬শ’ টাকা করে বেতন আদায় করতেন। বৃহস্পতিবার হুজুর আক্তার আটক হওয়ার খবরে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার উভয় প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ বিষয়ে জানার জন্য মাদ্রাসার সাইনবোর্ডে লেখা মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত শিশুর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর

🔝