gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৭ মে ২০২৪ ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
লোকসভা নির্বাচন: দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ১১:০৫:০০ এ এম , আপডেট : সোমবার, ৬ মে , ২০২৪, ১২:৩৮:৩৩ এ এম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-04-26_662b360c2324a.jpg

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণ হলেও দ্বিতীয় দফায় হচ্ছে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে। খবর এনডিটিভি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কয়েক দিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। প্রথম দফার ভোটের শতাংশের হার বিজেপিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সেই চিন্তা দূর করাই ওই ‘অনাবশ্যক’ বিতর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য বলে বিরোধীদের অভিযোগ। আজ শুক্রবার ভোট হচ্ছে লোকসভার ৮৯ আসনে। এগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছিল ৫৬টি, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ২৪টি। প্রথম দফায় ১০২ আসনে ভোট হয়েছিল।
দ্বিতীয় দফার ভোট হচ্ছে কেরালার ২০ আসনে, যেখানে লড়াই প্রধানত বামপন্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের। বিজেপি দক্ষিণের এই রাজ্যে তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো আসন জিততে পারেনি। কংগ্রেস ও বামপন্থীরা রাজ্যে পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সর্বভারতীয় স্তরে দুজনই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক ও বিজেপিবিরোধী। অতএব কেরালায় যারাই জিতুক, তা ইন্ডিয়া জোটের পাওনার ঘরই ভারী করবে।
কেরালার লাগোয়া কর্ণাটকের ১৪ আসনেও ভোট হচ্ছে আজ। রাজ্যের মোট আসন ২৮। তার মধ্যে আগের লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি। বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে কংগ্রেস ওই রাজ্য শাসন করছে গত বছর থেকে। মরিয়া বিজেপি হাত মিলিয়েছে রাজ্যের তৃতীয় শক্তি জেডিএসের সঙ্গে। ৪০০ আসনের লক্ষ্য ছুঁতে গেলে বিজেপির কাছে কর্ণাটকে ভালো ফল করা জরুরি।
প্রথম দফায় রাজস্থানে ভোট হয়েছিল ১২ আসনে। আজ বাকি ১৩ আসনে ভোট। এই রাজ্যেও বিজেপি গেলবার সব কটি আসন জিতেছিল। ভোট হচ্ছে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের ৮টি করে আসনে। সেই সঙ্গে ভোট মধ্যপ্রদেশের ৭, বিহার ও আসামের ৫টি করে আসনে। ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গের ৩টি করে আসনেও ভোট আজ। এর বাইরে মণিপুর, ত্রিপুরা ও জম্মু-কাশ্মীরের ১টি করে আসনে ভোট হচ্ছে। কেরালা, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিলে বাকি সব রাজ্যেই বিজেপি হয় একা অথবা সঙ্গীদের নিয়ে ক্ষমতায়।
‘চার শ পার’ স্লোগান সার্থক করার অর্থ প্রতি রাজ্যে আগেরবারের চেয়েও বেশি আসন জেতা। তবে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল কম। কোনো কোনো রাজ্যে গতবারের তুলনায় ৮ শতাংশ পর্যন্ত ভোট কম পড়েছে। বরং ভোটের লাইনে মুসলমানদের উপস্থিতি বেশি নজরে পড়েছিল। এসব লক্ষণ মোদি-বিরোধিতার নমুনা বলে বিরোধীরা প্রচার শুরু করা মাত্র প্রধানমন্ত্রী ‘কংগ্রেস-মুসলমান আঁতাত’ নিয়ে সরব হন।

আরও খবর

🔝