gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৭ মে ২০২৪ ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বৃষ্টির জন্য কলাপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১০:০০ পিএম
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা:
GK_2024-04-26_662b7d9073340.jpg

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে শুক্রবার সকাল ৯টায় ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেন শত শত মুসল্লিরা।
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র দাবদাহ, তীব্র রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ কুয়াকাটার উপকূলীয় খেটে খাওয়া মানুষ। প্রখর রোদ আর অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করে মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, কুয়াকাটা কেন্দ্রী জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারি। নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্ত পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। মাঠ, ঘাট ও ফসলি খেত শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এখন বৃষ্টি খুবই দরকার। রাসুল (সা.) তাঁর সময়েও বৃষ্টির জন্য এমন সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’
কলাপাড়ায় এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রিসেলসিয়াস রেকর্ড করা মধ্যে ওঠানামা করছে। ধারাবাহিক এই উচ্চ তাপমাত্রার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। জনজীবন হয়ে উঠেছে অসহনীয়।

আরও খবর

🔝