Published : Sunday, 17 January, 2021 at 10:18 PM, Count : 130

শার্শায় কবরস্থানের সম্পত্তি আত্মসাতের পায়তারা চালাচ্ছে এক ভূমি প্রতারক। ৪৭ নং বেনাপোল মৌজার সাবেক ২২৮ দাগের আর,এস ৪৩১ দাগে ১৯৬ খতিয়ানের ১৩ শতক জমি জবর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন শিরিনা আক্তার নামে এক ইউপি সদস্য।
প্রকৃত জমির মালিক ইয়াছিন আলী প্রায় ৭০ বছর আগে থেকে দূর্গাপুর গ্রামের ৭শতাধিক পরিবারের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কবরখানা করার জন্য ঐ জমি মৌখিকভাবে দান করেন। সে মোতাবেক ১৯৯০ সালে আর,এস রেকর্ডের সময় কবরস্থান হিসেবে চূড়ান্ত রেকর্ড সম্পন্ন হয়েছে। ঐ ভূমি প্রতারক নিজেকে ইয়াসিন আলীর ছেলে আমজাদ আলীর ভাইয়ের স্ত্রী পরিচয়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর বেনাপোল পৌরসভায় সুবিচার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, বর্তমান দখলীয় নুয়াল আলীর ছেলে মোসলেম আলী, আজহার আলীর ছেলে, নাসির উদ্দীন, রহমত আলী খার ছেলে আবু বক্কর খা, মৃত বাদল আলীর ছেলে শাহ আলীসহ ১০/১২ জন। যার অভিযোগ নং ৫৯/২০১৪। শিরিনা আক্তার অভিযোগ দায়ের করে হাজির না হওয়ায় বেনাপোল পৌরসভার শালিস বোর্ড পৃথক তিনবার নোটিশ করেও তার স্বপক্ষে কোন প্রমানাদি দেখাতে না পারায় অভিযোগটি খারিজ করে দেয়। এ ঘটনায় শার্শা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্যা শিরিনা আক্তার জমির মালিক প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইয়াছিন আলীর ছেলে আমজাদ আলীর কাছ থেকে গত ২৯/১০/২০১৫ তারিখ একটি আমমুক্তার নামা দলিল রেজীঃ করে নেন। যার দলিল নং- ৯০৪০৪। বর্তমানে ইয়াসিন আলীর ছেলে আমজাদ আলীর কোন অস্তিত্ব ও ঠিকানা না থাকলেও শিরিনা আক্তার রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী মহলকে প্রভাবিত করে জমি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৪ সালে বেনাপোল পৌরসভায় শালিস বোর্ডের দায়ের করা অভিযোগটি খারিজ হওয়ার পর ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আমমুক্তার নামা দলিল করে কবরস্থানের জমি আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গ্রামবাসী নুয়াল আলী এক বক্তব্যে বলেন, আমজাদ আলীর ছেলে ইয়াছিন আলী ৭০ বছর আগে গ্রামের সর্বসাধারণের কবরস্থান করার জন্য মৌখিকভাবে ১৩ শতক জমি দান করে দেন। বর্তমানে ঐ জমির মালিক ইয়াছিন আলীসহ তার আত্মীয় স্বজনের মরদেহ ঐ কবরস্থানে সমাহিত করা আছে।