Published : Thursday, 4 August, 2022 at 12:25 AM, Count : 236

দু’দিনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ভারী বর্ষণের কারণে পানি আটকে থাকায় অনেক জায়গায় চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এ কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের পুরাতন কসবা, টলিখোলা, পুলিশ লাইন, খড়কি, স্টেডিয়ামপাড়া, ষষ্টীতলা, শংকরপুর, বেজপাড়া, চিরুনিকল মোড়, চোপদারপাড়া,সরকারি এমএম কলেজ সংলগ্ন এলাকা, সিটি কলেজপাড়া, পিটিআই রোড, টিবি ক্লিনিকের মোড়, কারবালা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, পঙ্গু হাসপাতাল সংলগ্ন রোড এলাকাসহ শহরের নিম্নাঞ্চল একটু বৃষ্টিতেই একটু বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হচ্ছে।
ভারী বর্ষণের কারণে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যে যেতে লম্বা সময় লাগছে। শ’ শ’ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। বর্জ্য নিষ্কাশনে পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়মিত তা পরিষ্কার না করা ও অব্যবস্থাপনার কারণে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওইসব এলাকার ভুক্তভোগীদের।
পঙ্গু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শাহেদুজ্জামান শোয়েব বলেন, আগে না থাকলেও এখন এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাসহ বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। জলাবদ্ধতার কারণে দৈনিন্দন কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। শুধু এ এলাকা না, শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ অবস্থা চলছে। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা হলে এ অবস্থা থাকবে না বলে দাবি তার। লাকী নূরজাহান বলেন, কারবালা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা ভারী বর্ষণ হলেই তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাশন হতে সময় লাগে। প্রিয়াংকা নাথ বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই টিবি ক্লিনিকের মোড়ে পানি জমে থাকে। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন বলেন, পৌর এলাকার সব ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। প্রতি মাসেই তা করা হচ্ছে। মানুষ সচেতন না হলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। পলিথিন, ডাবের খোলাসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। এর জন্য ডাস্টবিন রয়েছে। ময়লা আনার জন্য নান ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও কিছুদিন যেতে না যেতেই ড্রেন ময়লায় ভরে যাচ্ছে। ড্রেনের সঠিক ব্যবহার করতে না জানলে এ অবস্থা বদলাবে না। শহরকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব সবার বলে উল্লেখ করেন তিনি।