gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ভুয়া নিয়োগপত্রে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২২, ০৯:১৭:৪১ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1651246318.jpg
যশোরে অগ্রণী ব্যাংকের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বুধবার আদালতে একটি মামলা হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আজিজুল দফাদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মৃত দোলন কাজী ওরফে কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে রওনক কাজী ওরফে কাজী রওনাকুল ইসলাম, রফি কাজীর ছেলে রাসেল, কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুর শেখ ও টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চকভরুয়া গ্রামের মৃত শাহাজান আলীর ছেলে শাহিন আলম ওরফে রাশেদ। মামলার বিবরণে জানা গেছে, কুদ্দুসের সাথে আসামি রাসেলের পরিচয় হয় নুরপুর গ্রামের আসাদুলের মাধ্যমে।  এক পর্যায়ে আসামিদ্বয়ের সাথে আব্দুল কুদ্দুসের সখ্য গড়ে ওঠে। এ সময় আব্দুল কুদ্দুসকে রওনক কাজী ও রাসেল জানান, তারা বাংলাদেশ সচিবলায়ের একজন সচিবের মাধ্যমে তার ছেলে আবিদ হাসানকে যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি দিতে পারবেন। তবে আপাতত তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে ঢাকায় অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আট হাজার ২৫০ টাকা বেতনে আবিদ হাসানের চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন। রওনক কাজী ও রাসেলের কথায় বিশ্বাস করে আব্দুল কুদ্দুস তাদেরকে সাত লাখ টাকা দিলে তারা তার ছেলে আবিদ হাসানের নামে অগ্রণী ব্যাংকের একটি নিয়োগপত্র দেন। শর্ত থাকে যে, আসামি রওনক কাজী ও রাসেল অপর আসামিদের সহায়তায় আবিদ হাসানকে ২০২১ সালের ১২ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকে যোগদান করিয়ে দেবেন। এরপর আবিদ হাসানকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসামি রওনক কাজী ও রাসেল আবিদ হাসানকে নিয়োগপত্র দিয়ে যশোরে পাঠান। এবং বলেন  যশোরের ঝুমঝুমপুরস্থ অগ্রণী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ে  অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ হবে। কিন্তু এক মাস পার হলেও চাকরি দিতে ব্যর্থ হন আসামিরা। পরে বাদী ঝুমঝুমপুরস্থ অগ্রণী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, তার ছেলেকে দেয়া নিয়োগপত্রটি ভুয়া। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের আশ্রয় নেন।    

আরও খবর

🔝