gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মজুত নেই, তবুও চালের দাম কমছে না খুলনায়
প্রকাশ : রবিবার, ৫ জুন , ২০২২, ০১:০০:৩৩ পিএম
খুলনা ব্যুরো::
1654412474.jpeg
খুলনার চালের বাজারের অস্থিরতা কোনোভাবেই কাটছে না। সরবরাহ থাকার পরও যেন কোনো কিছু ঠিক নেই। এছাড়া গোডাউন কিংবা মিলে অতিরিক্ত চালের মজুত নেই বলে জানিয়েছে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর। সবঠিক থাকার পরও দাম কেন বাড়ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ছোট ব্যবসায়ীরা দেখিয়ে দিচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীদের আর বড় ব্যবসায়ীরা পাইকার ও মিলারদের দায়ী করছেন। অন্যদিকে পাইকার ও মিলাররা দায়ী করছেন বড় বড় কোম্পানিগুলোকে।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্যাকেটজাত চাল বিক্রি শুরুর পর থেকেই বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকছে সব সময়। এদিকে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রায়দিন ক্রেতাশূন্য থাকছে খুলনার বড় বাজার। রিকশাচালক আব্দুর রউফ বলেন, ‘গরীবের চাল বলে পরিচিত স্বর্ণা। সেটিও প্রতি কেজিতে ৩ টাকা করে বেড়েছে। বাড়েনি আয়। পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি। কারণ প্রতিমাসে আমার ৪০ কেজি চালের প্রয়োজন হয়। এ চাল কিনতে এখন আরও বেশকিছু টাকা বাড়তি আয় করতে হবে।’খুচরা চাল বিক্রেতা শাহাদাত মৃধা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে চালের বাজারে উত্তাপ ছাড়াচ্ছে। এবার দেশে বোরোর আবাদ বেশ ভালোই হয়েছে। ধানের কোনো সংকট নেই। চালের দাম বাড়ল কেন? বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চালের দাম বাড়াচ্ছে। তাদের গোডাউনে অভিযান করলে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে। চালের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম।খুলনা মহানগরীর সবচেয়ে বড় চালের মোকাম হিসেবে পরিচিত খুলনার বড় বাজারের চাল পট্টি ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি নতুন সরু মিনিকেট চাল ৬৮ টাকায় বিক্রি করছেন খচরা ব্যবসায়ীরা। অনুরূপভাবে মাঝারি নতুন মিনিকেট ৬৫ টাকা, বাঁশমতি ৮০ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ একসপ্তাহ আগেও একই চাল ব্যবসায়ীরা ৫-৯ টাকা কমে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও দাম বাড়ার খুচরা ব্যবসায়ী ও পাইকাররা একে অপরকে দুষছেন। তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড় মিলমালিকরা অতিমাত্রায় ধানের মজুত করায় দফায় দফায় চালের দাম বেড়ে চলেছে।বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা বাসুদেব কুন্ডু দাম বাড়ার জন্য সরাসরি মিল মালিকদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিলাররা বিভিন্ন হাটে হাটে গিয়ে নতুন ধান কিনে মজুত রাখছে। চালের দাম বৃদ্ধির সংবাদ জেনে সেগুলো তারা বাজারজাত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত একসপ্তাহ আগেও বাজারে চালের সরবরাহ খুবই কম ছিল। মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযানের খবরের পর চালের সরবরাহ একটু বেড়েছে।’খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেন বলেন, চাল বা ধান মজুতের কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যেতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী কাজও হচ্ছে।

আরও খবর

🔝