Published : Tuesday, 19 January, 2021 at 9:26 PM, Count : 381

যশোরের চাঁচড়া ইউনিয়নের রুপদিয়া বাজার এলাকায় পেশি শক্তি বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এক ব্যক্তির মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষ ওই গাছ আটকিয়ে দিয়েছে। গাছের মালিক এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
যদিও অভিযুক্ত ওই জনপ্রতিনিধির দাবি, মালিকের সাথে কথা বলেই গাছ কাটা হয়েছে, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রুপদিয়া বাজারের উত্তর পাড়ায় পুকুর পাড়ে রাস্তা ঘেঁষে নিজের জমিতে এলাকার আক্কাস মোড়ল মেহগনি গাছ লাগান। বিধি অনুযায়ী গাছ সরকারি রাস্তার অংশে পড়লেও গাছ বিক্রির টাকার বেশি অংশের দাবিদার যিনি গাছ লাগান এবং দেখাশুনা করেন। এছাড়া তাকে জানিয়েই গাছ কর্তন বা বিক্রি করার বিধি রয়েছে। সে হিসেবে আক্কাস মোড়লই ওই গাছের প্রধান এবং বৈধ দাবিদার। কিন্তু তাকে কিছ্ ুনা জানিয়ে চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ওই গাছটি বিক্রি করে দিয়েছেন। নিজে সমুদয় টাকা পকেটস্থ করে এলাকার কামরুল নামে একজনের কাছে বিক্রি করেন। ১৯ জানুয়ারি কামরুল ইসলাম ওই গাছ কেটে নেয়ার সময় বাধ সাধেন আক্কাস মোড়ল ও তার লোকজন। এসময় কামরুল জানান, তার কোনো দোষ নেই। এটা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তিনি কিনেছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান গোপনে তার কাছ থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। এসময় স্থানীয়রা কাটা গাছ আটকে দেন।
গাছ মালিক আক্কাস মোড়ল জানিয়েছেন, তিনি তার জমিতেই গাছ লাগিয়েছেন। সরকারি রাস্তার পাশে হওয়ায় বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ অংশ পাবে। আর গাছ গালানো ও দেখাশুনাকারী হিসেবে ধরলেও বেশি অংশ পাবেন। অথচ চেয়ারম্যান আজিজ তঞ্চকতা করে ওই গাছ বিক্রি করেছেন। যে টাকা ইউনিয়নেও জমা হবে না, জমা হয়েছে তার পকেটে। এছাড়া বন বিভাগ, সড়ক বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিছুই জানে না। তিনি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের প্রতারণা ও চৌর্যবৃত্তি ঘটনার শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের সাথে কথা বললে তিনি গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, গাছটি আক্কাস মোড়লের লাগানো সত্য। তিনিই দাবিদার এটাও সত্য। তবে তার কাছে জানিয়েই ওই গাছ বিক্রি ও কাটা হয়েছে। একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি নিউজ করার কিছুই নেই। সমঝোতা হয়ে গেছে। আর কোনো সমস্যা নেই, সব সমাধান হয়ে গেছে। বাকি কথা সাক্ষাতে বলব।