gramerkagoj
রবিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
খুলনার সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

❒ যশোরে বগি লাইনচ্যূত

প্রকাশ : রবিবার, ১৪ নভেম্বর , ২০২১, ১২:০৮:৫০ এ এম
শিমুল ভূইয়া :
1636827011.jpg
যশোরের রেলগেটে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের কাপলিং ছিড়ে লাইনচ্যূত হয়। শনিবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। তবে, কেউ হতাহত হয়নি। রেলকর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি রেলগেট অতিক্রম করার সময় ইঞ্জিনের পরের বগিটির কাপলিং ছিড়ে যায়। এতে করে ট্রেনটি লাইনচ্যূত হয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এ সময় ট্রেনে অন্ততঃ চারশ’ যাত্রী ছিল। বগি লাইনচ্যূত হওয়ার পর হুড়মুড় করে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসে। এদিকে, সিঙ্গেল লাইনের ওপর ট্রেনটির বগিচ্যূৎ হওয়ায় খুলনার সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এ ঘটনায় রেলকর্তৃপক্ষের সিগন্যাল পরিচালনায় অসচেতনতাকে দায়ী করেন কেউ কেউ। তাদের দাবি, একলাইন থেকে অন্য লাইনে যাওয়ার জন্য যে কার্যক্রম করতে হয় সেটা যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনটির একটি অংশ রেলগেটের ওপর পড়ে থাকায় মুজিব সড়ক দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বিপাকে পড়েন পথচারীরা।রেললাইনের পাশের বাসিন্দারা  জানান, দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ হয়। ওইসময় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বাইরে এসে দেখেন ট্রেন লাইনচ্যূত হয়েছে। ট্রেনের যাত্রীদের নামতে তারা সহযোগিতা করেন বলে যানান। তারা আরও জানান, ট্রেনের গতি কম থাকায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ওই ট্রেনে ঝিকরগাছা থেকে আসা যাত্রী আশরাফুল ও মনিরুল ইসলাম জানান, যশোরের নামার জন্য তারা ধীরে ধীরে দরজার কাছে যাচ্ছিলেন। ঠিক ওইসময় বিকট আওয়াজ হয়ে ট্রেনটি লাইনচ্যূত হয়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো ট্রেন অন্ধাকার হয়ে যায়। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা ধীরে ধীরে ট্রেন থেকে নেমে আসেন। বেনাপোল থেকে আসা খুলনার যাত্রী মরিয়ম বেগম ও টুটুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি ভালোই চলছিল। যশোরে ক্রসিংয়ের কথা ছিল। ঠিক রেলগেট পার হলেই ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। উৎসুক জনতা ভিড় করে। স্টেশন মাস্টার আয়নাল হোসেন বলেন, বেনাপোল থেকে ট্রেনটি পাঁচটায় ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় তা যশোরে পৌঁছে ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে। কিন্তু স্টেশন অভ্যন্তরে প্রবেশমুখে ক্রসিংয়ের মুখে ট্রেনের কাপলিং ছিড়ে ট্রেনটি দু’ খন্ড হয়ে যায়। পরে প্রাথমিকভাবে তারা বেতনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন দিয়েই শান্টিংয়ের কাজ করেন। এরপর খুলনা  থেকে রিলিফ ট্রেন আসে। এখনো তারা সমস্যা সমাধানের কাজ করছে। তিনি আশা করেন, শনিবার রাত ১১ টার মধ্যে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে, যশোর থেকে বিকেলে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ট্রেনের টিকিট কাটা যাত্রীরা। সন্ধ্যার পর থেকে রেলস্ট্রেশনে যাত্রীরা ভিড় করতে শুরু করে। যশোরসহ আশপাশের জেলার যাত্রীরা ভিন্ন পথে যাত্রা শুরু করলেও দূরের যাত্রীদের রেলস্ট্রেশনেই অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

আরও খবর

🔝