বাগেরহাটের শরণখোলায় উদ্ধার অজ্ঞাত নারীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যায় উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার মৃতদেহটি উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজীর আহম্মেদের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী লাকী বেগমের (৩৫)।
উদ্ধারের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তেরর জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে বাগেরহাট জেলা (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার মীর সাফিন মাহমুদের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও  শরণখোলা থানা পুলিশ নিহত লাকীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেন।
অপরদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে লাকীর মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
ইউপি সদস্য জাকির হোসেন খাঁন বলেন, লাকী বেগমের প্রথম স্বামী নজীর আহম্মেদ কয়েক বছর আগে সুন্দরবনের দস্যুদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হন। পরবর্তিতে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতেন। বছর খানেক পূর্বে লাকী বেগম উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ছোট নলবুনিয়া গ্রামের বাদশা সরদারের ছেলে ইজিভ্যানচালক ছালাম সরদাকে বিয়ে করেন। লাকী পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ সামাদ হাওলাদারের মেয়ে ও রাজাপুর বাজারের বাসিন্দা।
লাকী বেগমের মেয়ে তায়েবা (১০) বলে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মায়ের কাছে একটি ফোন আসলে তিনি সালাম মামার বাড়িতে যান। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ ও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
শরণখোলা থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।