Published : Tuesday, 6 April, 2021 at 7:26 PM, Count : 563

করোনা সংক্রমণরোধে সাতদিনব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে যশোরে প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতো। কেবলমাত্র গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। ছোটখাটো বাহন চলাচল করতে দেখা যায় শহরের মধ্যে। তবে, কোথাও কোথাও ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক আটক করে পুলিশ। এ কারণে অসহায় হয়ে পড়েন খেঁটেখাওয়া অনেক মানুষ। বিভিন্ন স্থানে রিকশা-ইজিবাইক চালকদের অসহায়ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অসহায় এসব দিনমজুর তাদের কর্মহীন না করে স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়ি করার দাবি জানান।
হাফিজুর রহমান, আব্দুস সামাদ, আয়ুব হোসেনসহ কয়েকজন রিকশাচালক বলেন,‘আমরা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়েছি। খাই বা না খাই কিস্তি দেয়া লাগে। পুলিশ রিকশা আটক করায় বিপদে পড়েছি। না পারছি সমিতির কিস্তি দিতে। না পারছি বাজারঘাট করতে।’
এদিকে, প্রথমদিনের মতো শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে পুলিশি ব্যারিকেড ছিল। অনেক জায়গায় মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়,

অবৈধভাবে চালানো মোটরসাইকেল আটক করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কাঁচাবাজারগুলো যেখানে রয়েছে সেখানেই থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, বাজার স্থানান্তরিত করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ কারণে তারা প্রশাসনের কাছে বাজার স্থানান্তর না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলা রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার চিন্তা করছেন। আজ বুধবার তারা এ স্মারকলিপি দিতে পারেন বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, প্রথম দফার লকডাউনে ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেটিও ছিল রোজা এবং ঈদ সামনে রেখে। এবারও একই অবস্থা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে তারা ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিমাণ পণ্য তুলেছেন। ঈদের আগে যদি এগুলো বিক্রি করতে না পারেন তাহলে অনেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যাবেন জানিয়েছেন তারা।